X Close
X
+91-9846067672

লাভ জেহাদের বলি দিল্লির অঙ্কিতের স্মৃতিতে ২০০ জনকে ইফতার খাওয়ালেন তাঁর বাবা


দিল্লিতে লাভ জেহাদের বলি অঙ্কিটের বাবা ছেলের আত্মার শান্তির উদ্দেশ্যে ইফতার খাওয়ালেন প্রায় ২০০ জন রোজাদারকে। ভালবাসার বার্তা দিতেই এই আয়োজন করেছেন অঙ্কিটের বাবা যশপাল সাক্সেনা, এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, ছেলের মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসতেই সাম্প্রদায়িক আবহ তৈরি করে অশান্তির পরিকল্পনা করেছিল সমাজের এক শ্রেণির বাসিন্দারা। তবে তাতে সায় দেননি মৃত যুবকের বাবা। সাফ জানিয়েছিলেন, "হানাহানি ছড়াবে এমন কোনও বিবৃতি দয়া করে কেউ দেবেন না। যারা আমার ছেলেকে মেরেছে তারা মুসলিম। তবে সেই হত্যাকাণ্ডের জন্য প্রত্যেক মুসলিমকে দায়ী করা যাবে না। এই ঘটনাকে ব্যবহার করে কেউ সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়াবেন না। প্রত্যেকের কাছে আমি অনুরোধ রাখছি, এই হত্যার বিষয়টি সাম্প্রদায়িক রং চড়িয়ে পরিবেশ অশান্ত করবেন না।"

উল্লেখ্য, ছুরিকাহত হয়ে চারমাস আগে পেশায় চিত্রগ্রাহক অঙ্কিত সাক্সেনার (২৩) মৃত্যু হয়। পশ্চিম দিল্লির রঘুবীর নগরের এই ঘটনায় তাঁর প্রেমিকার বাবা মা ও বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, প্রেমিকার বাবা মা কাকু ও নাবালক ভাই-ই অঙ্কিতকে ছুরি মেরে খুন করে। ইতিমধ্যেই আদালতে তদন্তের চার্জশিট জমা করেছে পুলিশ। আগামী জুলাইতে এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত। 

ছেলের মৃত্যুর পর অনেকেই সাম্প্রদায়িক ক্ষেত্র থেকে অশান্তি ছড়ানোর জন্য যশপাল সাক্সেনাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে। তবে তিনি প্রভাবিত হননি। বরং রমজান শুরু হতেই ভালবাসা ও শান্তির বার্তা দেওয়ার সিন্ধান্ত নেন তিনি। ঠিক করেন একদিন রোজাদারদের ইফতার খাওয়াবেন। সহযোগিতা করে ছেলের বন্ধুরাও। পাশে পেয়ে যান উত্তরপ্রদেশের সেই চিকিৎসক ডাঃ কাফিল খানকে। যিনি কিছুদিন আগেই জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন। ডাঃ খান শান্তির বার্তা দিতে যশপাল সাক্সেনার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি পুত্রশোক কাটিয়ে ওঠা পরিবারকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন কাফিল খান।

ইফতার সমাবেশের পর যশপাল সাক্সেনা বলেন, "আমি বিহ্বল। যাঁরা এই ইফতার সমাবেশে যোগ দিয়েছেন তাঁদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। অনেকেই আমাকে ইফতার সমাবেশ আয়োজন করা থেকে বিরত থাকতে বলেছিলেন। কিন্তু এই সমাবেশ থেকেই মানুষের কাছে ভালবাসা ও শান্তির বার্তা দিতে চেয়েছিলাম। আমি আমার একমাত্র ছেলেকে হারিয়েছি। আর এই আয়োজন তার জন্যই।"